আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেছেন, নির্বাচনে প্রতিযোগিতার জন্য তো বিএনপিরও অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কিন্তু মাহবুব তালুকদার তো নির্বাচনে বিএনপিকে আনতে পারেননি।
আজ বৃহস্পতিবার তাঁর বাসভবনে ব্রিফিংয়ে নির্বাচনে প্রতিযোগিতা না থাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য প্রসঙ্গে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, মাহবুব তালুকদার নির্বাচনে ভোটারদের অনাগ্রহের কথা বলেন, অথচ এই করোনার মধ্যেও সম্প্রতি শেষ হওয়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটারের উপস্থিতি ছিলো প্রায় ৬৯ শতাংশ।
মাহবুব তালুকদারের বক্তব্য রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তা না হলে মাহবুব তালুকদার একটি দায়িত্বশীল জায়গায় থেকে এ ধরনের বক্তব্য কিভাবে দেন?
তিনি বলেন, দেশ যখনই এগিয়ে যায় বিএনপির নেতৃত্বে প্রতিক্রিয়াশীল একটি মহল দেশের অগ্রযাত্রার গতিকে থামিয়ে দিতে চায়। তারা চায় দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে এবং আন্দোলনের নামে জনগণের সম্পদ বিনষ্ট করতে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, করোনার স্থবিরতা কাটিয়ে জন-জীবনে গতি ফিরতে শুরু করেছে। এ সময়ে আমাদের সবার রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং উন্নয়নবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার নাকি মানুষের আশা- আকাঙ্ক্ষাকে পুরোপুরি নষ্ট করে দিচ্ছে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আসলে বিএনপিই মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কোন মূল্য দেয়নি।
আর্থ-সামাজিক প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে অদম্য গতিতে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মানুষের মনে আশা জাগিয়ে লক্ষ লক্ষ তরুণপ্রাণে স্বপ্ন জাগিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।
তিনি বলেন, সরকার বেগম জিয়াকে বেআইনিভাবে সাজা দিয়ে বন্দী করে রাখেনি, বরং বেগম জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাঁকে বাসায় থেকে চিকিৎসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।
কা দিয়ে চিকিৎসার নামে দেশ থেকে পালিয়েছে। রাজনীতি না করার শর্তে তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে মুচলেকা সে নিজেই দেশ থেকে পালিয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে বলেন, সাহস থাকলে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনুন। রাজনীতি করতে হলে দেশের মাটিতেই করতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, দেশের রাজনীতি টেমস নদীর ওপার থেকে ডাক দিলেই হবে না, তাতে দেশের জনগণ সাড়া দিবে না।